করোনা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ চিকিৎসক। নিজের ও পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন এই সাড়ে তিন হাজার যোদ্ধা। বাকি ৯৬ ভাগ চিকিৎসক সরাসরি কোভিড সেবায় জড়িত নেই। তবু করোনা কিংবা নন-করোনা সেবায় চিকিৎসকের অভাব হাসপাতালগুলোতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা ও সরকারের পরিকল্পনা থাকলে সংকট মোকাবেলা সম্ভব।
করোনা মোকাবিলায় ঢাকার ১৩ টি হাসপাতালে প্রায় তিন হাজার বেডের জন্য চিকিৎসক আছেন ১৫৩৮জন। এরমধ্যে সরকারি ১০টি আর বেসরকারি ৩টি হাসপাতাল। ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৬ হাজার বেডের জন্য নিযুক্ত আরও প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকির পরও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই সাড়ে তিন হাজার কোভিড যোদ্ধা।
অন্যদিকে, কোভিড হাসপাতালগুলোতে অভিজ্ঞ চিকিৎসক হাতে গোনা। আবার আগ্রহী চিকিৎসকের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না বেশ কিছু হাসপাতাল। অথচ দেশে সরকারি চিকিৎসক আছেন প্রায় ২৭ হাজার।
বিএমডিএস এর তথ্য সরকারি, বেসরকারি মিলে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক আছেন প্রায় এক লাখ।
বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড সেবা দিচ্ছে রিজেন্ট ও সাজেদা ফাউন্ডেশন। স্বল্প পরিসরে টেলিমেডিসিন সেবাও দিচ্ছেন কেউ কেউ। এছাড়া শুরু থেকেই অনেকটা পালিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। করোনা পরীক্ষা ছাড়া অন্য রোগের সেবাও দিচ্ছে না তারা। অথচ নূন্যতম ২৪ ঘণ্টার আগে করোনা টেস্ট অসম্ভব।
দুর্যোগের সময়ে চিকিৎসকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Leave a reply