সংক্রমণ মোকাবেলায় সারা দেশে লাল, সবুজ ও হলুদ জোন হচ্ছে

|

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারা দেশকে লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপন। তিনি বলেন, ছোট ছোট এলাকা ধরে সংক্রমণ বেশি পাওয়া অংশগুলো সাময়িক লকডাউন করা হবে। মহামারি সতকর্তার অংশ হিসেবে, সরকারি অফিসে একসঙ্গে উপস্থিতিও কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে করণীয় সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয়সরকার মন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের মেয়র।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও জোন করা হয়নি। যখন করা হবে তখন জানতে পারবেন। ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। যদি কোনো জোন রেড হয় সেগুলো রেড করা হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা ও উপজেলা এখনও ভালো আছে। আমরা সেটা ভালো রাখতে চাই। সেটা রাখতেই আজ এই সভা করা হলো। গত পরশুদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। সে পরামর্শ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন আমরা একটা প্ল্যান তৈরি করবো। সেটা নিয়ে নীতিগতভাবে এখানে আলোচনা হয়ে গেছে। আমরা এখন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিয়ে দেবো। তখন মেয়র, স্বাস্থ্য, স্বারাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সবাই মিলে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো।

জোন কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত এটাই। এখন বিশেষজ্ঞরা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন বা জোনিং করবেন সেটা তারা জানেন। যেখানে বেশি সংক্রমণ হবে সেখানে কয়েকদিনের জন্য লকডাউনে যাওয়া হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবে সেভাবেই আমরা কাজ করবো।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জকে রেড জোনে ফেলা হবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ কাজ বিশেষজ্ঞরা করবেন। তবে আমরা মনে করি রেড জোন হওয়া উচিত। কারণ এখানে অনেক সংক্রমিত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমাদের সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার হারও বাড়ছে। আজ সেজন্য কয়েকটা জোন মার্কিং করছি। যেমন, রেড, গ্রিন ও ইয়োলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল এই জোনগুলোর মধ্যে রেড জোনকে কীভাবে গ্রিন জোন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা দেবেন। সেই প্রস্তাবনা আমরা খব শিগগিরই বাস্তবায়ন করবো।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অফিসগুলোতে ২৫ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নির্ধারণ করার নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন জানান, উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২ বা ৩ ঘণ্টায় কাজ শেষ করার চেষ্টা করবেন। বাকিরা প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে অফিস করবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply