লঞ্চে উদাসীনতা, ট্রেনে ভিন্ন চিত্র

|

করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে দুই মাস বন্ধ রাখার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। খুলে দেয়া হয়েছে রেল, সড়ক, নৌ ও আকাশপথ। তবে এসব পথে ভ্রমণে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৩ দফা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা মানা হলেও এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদাসীনতা চোখে পড়ছে।

সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর লঞ্চ চলাচলের চারদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও স্বাস্থ্যবিধিতে পরিবর্তন আসেনি। সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ নানা শর্তের কথা যাত্রীরা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। এসব শর্ত মানাতে মালিকপক্ষকেরও জোরালো কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। অতিরিক্ত যাত্রীর অজুহাত দিয়ে বারবারই দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।

সকালে ঢাকার সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলমুখী লঞ্চগুলোতে দেখা যায় আগের মতোই ঠাসাঠাসি-গাদাগাদি। আর ঢাকায় ফেরা লঞ্চগুলো থেকে যাত্রীরা নামছিলেনও হুড়োহুড়ি করে। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

বিআইডিব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির মানার প্রবণতা কম দেখা যাচ্ছে।

তবে লঞ্চের উদাসীনতা চোখে পড়েনি ট্রেনে। চালুর পর থেকেই ট্রেন চলছে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে। স্টেশন ছাড়ার আগে পুরো ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া স্যানিটাইজ করা সহ এক আসন ফাঁকা রেখেই বসােনা হচ্ছে যাত্রীদের।

আজ মোট ১০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবো বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে সোনার বাংলা ও তিস্তা এক্সপ্রেস।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে উঠানো হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া যাত্রীরাও বেশ সতর্ক। রেলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply