ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এই মুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গেলো এক মাস ধরেই সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। একই গতিতে কমছে মৃত্যুর হারও। মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেশটিতে যেখানে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ছিল ৮৭৮ জন করে। গেলো এক মাসে মৃত্যুর সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৭ জনের কাছাকাছি।
ফলে দেশটিতে করোনার প্রকোপ কমার সাথে কমেছে মাস্কের মতো সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদাও। গুদামেই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ পিস মাস্ক। এতে ক্ষতির মুখে দেশটির গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মহামারি চরম আকার ধারণ করায় সব কিছু বাদ দিয়ে উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন মাস্কের। কিন্তু তা এখন বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্যারিসের মাস্ক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, চাহিদা কমে যাওয়ায় গুদামে অলস পড়ে আছে হাজার হাজার কার্টুন মাস্ক; যা বড় অংকের ক্ষতি।
থমাস ডেলিসি নামক এক গার্মেন্টস মালিক অবিক্রিত মাস্ক নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন। বলছেন, মহামারি যখন চরমে ছিলো তখন সরকারি নির্দেশনায় সব কিছু বাদ দিয়ে সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করেছি। এখন লক্ষ লক্ষ মাস্ক অবিক্রিত রয়ে গেছে। জানিনা কি ভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠবো। তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলে জানান এই শিল্প উদ্যোক্তা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সমন্বিত উদ্যোগে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে সরকারিভাবে এসব মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় অনেকেই কম দামে চীন বা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে পারে। যা এই শিল্প ও এর সাথে জড়িতদের আরও বেকায়দায় ফেলবে।
এদিকে, গার্মেন্টস খাতের এই সংকট দূর করতে গেলো মাসে সবাইকে দেশিয় মাস্ক পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরন। তবুও সংকট সমাধানের কোন সম্ভাবনা দেখছেননা ব্যবসায়ীরা।
Leave a reply