অনিকের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আসেন মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এমপি হোস্টেলের বাসায় ঢুকে অনিকের কক্ষে বারবার টোকা দিয়েও কোন সাড়াশব্দ পাননি তিনি। বিকল্প চাবি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সিলিংয়ে তার পেচানো অবস্থায় ঝুলছে অনিকের মরদেহ।
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানার ওসি জানান, অনিকের পরিবারের সদস্যদের ধারণা, রাতে কোন এক সময়ে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিক গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
অনিক এমপি লুৎফুল্লাহ’র একমাত্র ছেলে। সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন স্কুল থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি পাশ করার পর খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা পাশ করেন অনিক। এরপর ঢাকায় এসে ভর্তি হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ৪ বছর ধরে ন্যাম ভবনের ওই ফ্ল্যাট তার ঠিকানা।
অনিকের বাবা অ্যাডভোকেট মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। ২০১৪ সালের সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন তিনি।
Leave a reply