কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার ফলে জেলার ১৬টি নদ-দীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে প্রায় দু’লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
করোনার কারণে টানা তিনমাস ঘরে বন্দি মানুষজনের কাছে চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে চলমান বন্যা। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পরেছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বন্যায় মানুষের শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দিনে-রাতে বৃষ্টির কারণে জ্বালানী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। অপরদিকে গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ১ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তবে বেসরকারিভাবে নিমজ্জিত বা ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার হেক্টর বলে সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জানা গেছে।
অপরদিকে মৎস্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জানালেও ইতোমধ্যে শতাধিক পুকুর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছচাষিরা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, ইতোমধ্যে বানভাসিদের জন্য ৩০২ মে.টন চাল এবং ৩৬ লক্ষ ৬৮হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিতরা যাতে খাদ্য সংকটে না পরে এবং তাদের সম্পদ রক্ষা করাসহ নিরাপদে সরিয়ে নেবার বিষয়ে জেলা-উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
ইউএইস/
Leave a reply