কেরালার কোঝিকড় বিমানবন্দর অনিরাপদ এবং উড়োজাহাজ অবতরণের অযোগ্য। ৯ বছর আগেই, বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে এ সর্তকতা দিয়েছিলো সেফটি অ্যাডভাইজারি কমিটি।
তবুও এই সতর্কবার্তার তোয়াক্কা না করেই চলছিলো রানওয়েতে বিমানের উঠানামা। ঝড়-বৃষ্টিতে প্রবল ঝুঁকি নিয়ে অবতরণের কারণেই ঘটলো শুক্রবারের দুর্ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ‘আইএক্স ওয়ান থ্রি ফোর ফোর’ ফ্লাইটের দুর্ঘটনায় দুই পাইলটসহ ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত কমপক্ষে ১১২ আরোহী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় দেয়া হচ্ছে জরুরি চিকিৎসা।
বিমানটি দুবাই থেকে করোনা মহামারিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরছিলো। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে, কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় চাকা পিছলে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে সেটি। দু’টুকরোয় ভেঙ্গে পড়ে ‘বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন এনজি’ বিমানটি।
বিমানটিতে দু’জন পাইলটসহ মোট ১৯১ আরোহী ছিলেন। জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই কেরালায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি।
দুর্ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। এয়ার ইন্ডিয়া, এএআই এবং এএআই’র বিশেষজ্ঞরা এই দলে আছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
Leave a reply