প্রণব মুখার্জি পরিচিত ছিলেন ‘রাজনীতির চাণক্য’ হিসেবে। তার প্রয়াণে অবসান হলো ভারতের রাজনীতির এক বর্ণিল অধ্যায়ের। ৮৪ বছর বয়সী প্রবীণ এই নেতা তৃণমূল থেকে পৌঁছেছেন রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে। জীবদ্দশায় বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
পালন করেছেন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কলেজ শিক্ষক থেকে হয়েছেন রাষ্ট্রপতি। দীর্ঘ ৬ দশকের রাজনৈতিক জীবনে কখনও পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে মূল ধারার রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন প্রণব।
১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন প্রণব। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে নিজের সততা-দক্ষতায় দায়িত্ব পালন করেন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা’সহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। সর্বশেষ ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
কূটনীতিতেও ছিলেন চৌকস। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন প্রণব। বাংলাদেশের প্রতি আলাদা একটা টান ছিলো ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতির। তার শ্বশুর বাড়িও বাংলাদেশের নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে।
নানা কীর্তির কারণে পেয়েছেন বহু সম্মাননা। ২০০৮ সালে পান ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ। ২০১১ সালে ডক্টর অফ লেটারস ডিগ্রি ও ২০১২ সালে ডি. লিট ডিগ্রি পান।
পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রণব মুখার্জিকে সম্মান সূচক ‘ডক্টরেট অফ ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। ২০১৩ সালেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ পান তিনি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভূষিত হন ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কারে।
ইউএইচ/
Leave a reply