প্রতিদিনের লোড শেডিং আর সেইসাথে জীবনযাত্রার মান অবনতি হওয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে লিবিয়ার পূর্ব-ভিত্তিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর তারই জের ধরে অবশেষে পদত্যাগই করতে হলো তাদের।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, কমান্ডার খলিফা হাফতারের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিল এ সরকার। পদত্যাগের পরে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের মুখপাত্র এজ্জেল দিন আল ফালিহ জানান, রোববার স্পিকার আগুইলা সালেহর কাছে সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন আল-থানি।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা বেনগাজিতে সরকারের সদরদফতরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ আল-থানির সরকারের পদত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী ২০১১ সালে দীর্ঘসময়ের স্বৈরাচারী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া। ওই সময়ের পর দেশের পূর্ব ও পশ্চিমে সশস্ত্র সংগঠন ও বিদেশি সরকার সমর্থিত দুটি আলাদা সরকার ক্ষমতায় আসে।
সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিং, পেট্রোল ডিজেলের লাগাম ছাড়া মূল্য ও লোকের কাছে অর্থের অভাবে শুরু হলে দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। জেনারেল খলিফ হাফতারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আল মার্জেও প্রথমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
Leave a reply