ভারত এবং চীনের মধ্যে সীমান্ত ইস্যুতে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। রাশিয়ার মধ্যস্ততায় মস্কোতে শান্তিপূর্ন আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এর জেরে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে চীনের বিরুদ্ধে অনেকটা রণ প্রস্তুতির ঘোষণা দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
নয়া দিল্লির অভিযোগ, নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহারসহ যেসব শর্ত ছিলো তার কিছুই মানছে না বেইজিং। তবে শি জিনপিং প্রশাসন বলছে, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে এখনও আলোচনা চলছে ভারতের সাথে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, মস্কোতে চীনা প্রতিনিধিদের সাথে অনবদ্য আলোচনা হয়েছিলো। সেখানে তাদের সেনা মোতায়েন এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়্। ভারত সবসময় শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় সেই বার্তা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কিছুই বাস্তবায়ন করছে না। ভারতের ভূখন্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় প্রস্তুত আমরা।
ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের আগ্রাসী মনোভাবে গোটা অঞ্চলই অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক সুশান্ত শ্রীন বলেন, চীন যেভাবে আগ্রাসী আচরণ করছে তা সত্যিই চিন্তার কারণ। কারণ কৌলশগতভাবে তারা কোনভাবেই সীমান্ত ছাড়তে চায় না। আমার মনে হয়, বেইজিং যে অবস্থান নিয়েছে তা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।
তবে বেইজিং বলছে, ভারত আন্তরিক হলেই কেবল মস্কোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজনে আবারও বৈঠকে বসার আহ্বান চীনের।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মস্কোর আলোচনায় সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে শান্তিপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি আমরা। এ নিয়ে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করবো ভারত আন্তরিকভাবে সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। প্রয়োজনে আবারও দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হবে।
গেলো বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে সেনার সংখ্যা কমানোসহ ৫টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় চীন ও ভারত। জুনে, সীমান্ত সংঘাতে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর থেকেই টানাপোড়েন চলছে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে।
Leave a reply