‘মাল’ থেকে ‘মাছ’ খাওয়া সব বাঙালিই জেলে যাবে!

সর্বভুক বাঙালি। অতএব সকলেই জেলে যাবে। টুইটারে এভাবের ব্যঙ্গের ছলে সুশান্ত মামলা নিয়ে মন্তব্য করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া বরাবরই নিজের মেজাজে থাকেন স্বস্তিকা। সুশান্ত মামলার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। এক নেটিজেন লিখেছিলেন, বাঙালিদের কাছে ‘মাল’ মানে পানীয়। সেই কারণে এবার বাঙালিদের নিয়ে চিন্তিত তিনি। আসলে, যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে দীপিকা পাড়ুকোনকে শনিবার এনসিবি দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে, তাতেও অভিনেত্রী ‘মাল’-এর খোঁজই করেছিলেন। আর সেই সূত্রেই ‘মাল’ শব্দের উল্লেখ করেন ওই নেটিজেন। তারই টুইট শেয়ার করে স্বস্তিকা আবার লেখেন,
“আমরা সকলেই জেলে যাব। মাল থেকে মাছ, সিগারেট থেকে জল– আমরা বাঙালিরা তো সব খাই।” খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতি মুহূর্তেই সুশান্ত কাণ্ডে নতুন খবর প্রকাশ্যে আসছে। শুক্রবার ও শনিবার দীপিকা ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। পাশাপাশি, করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার ক্ষীতিশ রবিপ্রসাদের বাড়িতেও হানা দেয় এনসিবি। সেখান থেকে ক্ষীতিশ ও তার এক মহিলা সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্মা প্রোডাকশনের সহকারী পরিচালক অনুভব চোপড়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শিরোমণি আকালি দলের (SAD) নেতা মনজিন্দের সিং সিরসা দাবি করেন, খুব শিগগিরিই ২০১৯ সালের ‘ড্রাগ পার্টি’র জন্য করণকেও ডেকে পাঠাতে পারে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার এনসিবি অফিসে গিয়ে বয়ান দিয়েছেন রকুলপ্রীত সিং। বিশেষ তদন্তকারী দলকে দেওয়া রকুলের বয়ান অ্যানালাইজ করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিরেক্টর জেনারেল মুথা অশোক জৈন। এছাড়া শনিবার দীপিকা, শ্রদ্ধা ও সারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে সুশান্ত মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ জাহির করেছেন অভিনেতার বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং। জানান, সুশান্তের পরিবার মনে করছে তার মৃত্যুর মামলাকে অন্য পথে ঘোরানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, AIIMS-এর চিকিৎসক তার কাছে স্বীকার করেছেন শ্বাসরোধের ফলে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। অথচ সিবিআই এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি। ধীর গতিতে মামলা এগোচ্ছে বলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিকাশ সিং।