এখনও কয়েক লাখ ভোট গণনা বাকি। তবুও খাদের কিনারা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। বরং ব্যাটলগ্রাউন্ট স্টেট গুলোতে সময়ের সাথে বাড়ছে দুই প্রার্থীর ব্যবধান। সবচেয়ে বেশি আলোচনা পেনসিলভানিয়াকে ঘিরে। কারণ, এই রাজ্যের ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত হওয়া মাত্রই আসবে বাইডেনের জয়ের ঘোষণা।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের দখলে যাবার আগে টানা ছয় মেয়াদে ডেমোক্র্যাটদের অধীনেই ছিল পেনসিলভানিয়া। এবার রাজ্যটিতে শুরু থেকে ট্রাম্পকে ফেভারিট হিসেবে ধরা হলেও শুক্রবারই প্রেসিডেন্টকে টপকে যান বাইডেন। এরপর থেকে বেড়েই চলেছে ব্যবধান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেকে মিলার বলেন, এই মুহূর্তে পেনসিলভানিয়াই ফল নির্ধারণে যথেষ্ঠ। অঙ্গরাজ্যটিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয় পেলে আর কোনো হিসাব নিকাশেরই প্রয়োজন নেই।
জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনাতেও জয়ের কাছাকাছি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। ১৯৯২ এর পর থেকে জর্জিয়ায় কোনো ডেমোক্র্যাট জয় না পেলেও এখন ৭হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বাইডেন। এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলোয় দখল নিতে পারলে ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট জমা হবে তার ঝুলিতে।
জেকে মিলার বলেন, ভোটের রাত থেকেই বাইডেন শিবির পুরোপুরি স্থির ও আত্মবিশ্বাসী। উল্টোচিত্র রিপাবলিকান শিবিরে। জর্জিয়া আর পেনসিলভানিয়ায় ফলাফল পাল্টে যেতে শুরু করায় তাদের অবস্থান আরও নড়বড়ে হয়েছে। এসময় বড় কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
৩ শতাধিক ইলেক্টোরাল ভোট জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জো বাইডেনও। এরইমধ্যে ৭ কোটি ৪০ লাখের বেশি ব্যালটে তার পক্ষে রায় দিয়েছে মার্কিনীরা। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী প্রায় ৪০ লাখের মতো ভোটে এগিয়ে বাইডেন।
Leave a reply