সিনেমা-গান-অনুষ্ঠান সবকিছুতেই মাদককে চাকচিক্য করে দেখানো হচ্ছে। স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই ধুমপান থেকে শুরু করে মাদকের ভয়াল থাবায় কিশোর-তারুণ্য। এরই মাঝে মাদককে না বলতে দেশের চার তরুণ দু:সাহসিক এক সাইকেল যাত্রায় এগিয়ে এলেন।
মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব ROPE-4 (রোপ-ফোর) সংগঠনের উদ্যেগে চলতি মাসের ৬ তারিখ তেতুলিয়া থেকে শুরু হয় সাইক্লিং। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর টেকনাফে গিয়ে শেষ হয় দেশব্যাপী এ সাইক্লিং অভিযাত্রা।
রোপ-ফোর সংগঠনের চেয়ারম্যান মারুফা হক জানান, কিশোর-তরুণদের মধ্যে মাদকের ভয়াবহতা জানাতে ও দু:সাহসিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ। রোপ-ফোর মূলত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে-বিদেশে পাহাড়ে অভিযাত্রা নিয়ে কাজ করে। মহামারির মধ্যে এগুলো বন্ধ থাকায় দেশের মধ্যে তারুণ্য ভাবনা নিয়ে কর্মসূচি হাতে নেয়া। যেখানে সাইকেলে করে ‘মাদক-ধুমপানকে না বলি, স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ি’- এই বার্তাটিই দেয়া হয়।
সাইকেলে করে ৮ দিনে পুরো দেশ পাড়ি দেয়া চার তরুণ হলেন, হিবা শরাফুদ্দিন, কামরুল হাসান রায়হান, গোলাম মো. আদিল, আবরারুল আলম অর্ণব। তারা মোট ১ হাজার ৪ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেলে পাড়ি দেন। বাংলাবান্ধা থেকে নীলফামারি, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গিয়ে শেষ হয় তাদের যাত্রা।
এ সময় তারা ক্রস কান্ট্রি এক্সপেডিশনে মাদকবিরোধী প্রচারণায় এলাকাভিত্তিক সব মানুষের সাথে কথা বলেন। তারা বলেন, তাদের হাজার কিলোমিটার পথ চলায় যদি একজন মানুষও মাদক থেকে দূরে সরে আসে সেটিই হবে বড় পাওয়া। পথিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া ও আতিথেয়তা পান অংশগ্রহনকারীরা।
তরুণদের নিয়ে এরকম দু:সাহসিক অভিযান সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রোপ-ফোর এর আরেক প্রতিষ্ঠাতা মহিউদ্দিন মাহি জানান, শুধু মাদক নয়, যেকোনো খারাপ অভ্যাস বা সঙ্গ থেকে কিশোর-তরুণদের দূরে রাখতে তাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অথবা এরকম দু:সাহসিক কাজে নিয়োজিত করা জরুরী। নিয়মিত শরীর চর্চা থেকে শুরু অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেলিংয়েও কিশোর-তরুণদের উৎসাহিত করার উপর জোর দেন তিনি। এজন্য সরকারি পর্যায় থেকেও উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান মাহি।
Leave a reply