কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বান্দ্রায় মায়ের মরদেহ সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস এক ঘরে কাটিয়েছেন মেয়ে। শনিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলে বান্দ্রার চুইম গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায়, লকডাউন চলাকালে গত মার্চেই মহিলার বৃদ্ধা মা মারা যান। কিন্তু তিনি মায়ের মরদেহ আগলে রেখে এক ঘরেই বাস করছিলেন।
এক প্রতিবেশী জানান, প্রায়ই মহিলাকে জানলা দিয়ে আবর্জনা ফেলতে দেখা যেত। আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ির ওই জানলাটাই শুধু খুলতেন তিনি। অন্য দরজা জানলা বন্ধ থাকত বলে দাবি ওই প্রতিবেশীর।
পুলিশ জানিয়েছে, কেন দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা হত, তা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যেও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। শনিবার এক প্রতিবেশী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে, পুলিশ এসে মহিলার বাড়িতে ঢুকতেই দেখতে পান বিছানার উপর পড়ে রয়েছে অস্থিচর্ম গলে যাওয়া এক বৃদ্ধার দেহ।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে মহিলা তার মাকে নিয়েই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। তা ছাড়া মহিলার মানসিক কিছু সমস্যা থাকায় প্রতিবেশীরাও তাকে এড়িয়ে চলতেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অসুস্থতার জন্যই হয়তো কাউকে মায়ের মৃত্যু সম্পর্কে জানাতে সাহস পাননি তিনি। তাই মায়ের মরদেহ ঘরে রেখেই তার সঙ্গে বাস করছিলেন মহিলা।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে আরও জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই পরিবারের একটি পোষ্য কুকুর মারা গিয়েছিল। তার শেষকৃত্য না করে দীর্ঘদিন ধরে ঘরেই রেখে দিয়েছিলেন ওই মহিলা ও তার মা।
খার (পশ্চিম)’র এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, কী ভাবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হল এবং এ সংক্রান্ত বহু প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি মহিলা। আপাতত তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
Leave a reply