দণ্ডবিধি বা পেনাল কোডের ৪৫ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাদণ্ড। রোববার এই নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক মামলায় মোকছেদ আলী নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারপতি ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
টুটুল এন্ড আদার ভারসাস স্টেট মামলার জেল আপিলে শুনানি হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। পরদিন আপিল বিভাগ দুই আসামির মধ্যে টুটুলের সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে দশ বছর জেল দেন এবং মোকছেদ আলীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
রোববার প্রকাশিত সেই পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করা হয়, দণ্ডবিধি বা পেনাল কোডের ৪৫ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাদণ্ড।
রায় পর্যালোচনা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে দণ্ডবিধির ৪৫ ধারা অনুযায়ী স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাদণ্ড। কোন ব্যক্তির যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাহলে তার স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে। এসময় আইন অনুযায়ী তাকে কারাগেরে প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
যদিও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার রায় যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড- এই রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের ওপর রায়ের জন্য ১লা ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। ১লা ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড নাকি ৩০ বছরের কারাদণ্ড।
Leave a reply