ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ভাসমান বেডে বিষমুক্ত সবজি চাষে বিপ্লব ঘটছে নদী বেষ্টিত ছোট জেলা ঝালকাঠি। এতো দিন জলাবদ্ধ যে জমি ছিলো কৃষকের গলার কাঁটা, তা এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু
করেছে। আভাস দিচ্ছে কৃষি অর্থনীতির এক নতুন দিগন্তের। মাটি ছাড়া ভাসমান পদ্ধতিতে
সবজি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে। জেলার শতাধিক প্রদর্শনী প্লট করে দিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
অতিবৃষ্টি ও বন্যায় এই ভাসমান বেড ডুবে যাবে না। সেচ, কীটনাশক বা কোনো প্রকার সার ছাড়াই সবজি চাষ ছিল উপকূলীয় অঞ্চল ঝালকাঠি জেলার কৃষকদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে কৃষি অধিদফতর। ভাসমান বেডে নানান সবজি, মসলা ও আমনের বীজতলা রোপণ করছেন ঝালকাঠির কৃষকরা।
জেলাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বহু জমি পানিতে ডুবে থাকে। সেখানে কৃষি বিভাগ নিজেদের উদ্যোগে কলা গাছের ভেলায় এবং কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করে দিচ্ছে। ভাসমান এসব বেডে চাষ করা হচ্ছে লাল শাক, মুলা শাক, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ঢেঁড়স বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মসলা। প্রতিটি বেডে বছরে ৬ থেকে ৭ বার চাষ করা যায়। পাশাপাশি মাছও চাষ করা যায়। লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। জলাবদ্ধ ও বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষকরা এ ধরনের ভাসমান বেডে সাড়া বছরই সবজি চাষ করতে পারবেন। এরইমধ্যে এ বেডে উৎপাদিত সবজি বিক্রিও করছেন তারা। জেলার প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে ১৩৭টি ভাসমান বেড রয়েছে।
এতোদিন জলাবদ্ধ যে জমি ছিলো কৃষকের গলার কাঁটা, তা এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই বন্যা অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে যায় এ জেলায় তাই ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা সবার।
ইউএইচ/
Leave a reply