চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গায় অপহরণের এক সপ্তাহ পর সাকিব হাসানের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার যদুপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত সাকিব হাসান উপজেলার যদুপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। নিহতের পিতা আব্দুল কুদ্দুস সৌদি প্রবাসী।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাকিব হাসান। এরপর ২০ ডিসেম্বর দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করেন তার মা। জিডির সূত্র ধরে অপহৃত সাকিবকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। পুলিশ একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার স্বীকারোক্তিতে শনিবার দুপুরে যদুপুর গ্রামের একটি আমবাগানের ভেতর থেকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে অপহরণকারীরা।
নিহতের মা শেফালী বেগম জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কৌশলে সাকিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অপহরণ চক্রের সদস্যরা। এর পরদিন তার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তখন সাকিবের মা দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। পরে শনিবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানাতে চাননি তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply