গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গাইবান্ধার সাত উপজেলায় ৮৪৬টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ হচ্ছে। এরমধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ঘর পাবে ১৭৯টি ভূমিহীন পরিবার।
কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান দেখতে সাদুল্লাপুরে গৃহনির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
শনিবার বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গুচ্ছগ্রাম ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সাগর দিঘির খাস জমিতে নির্মিতব্য ঘরের কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ঘর পাওয়া সুবিধাভোগীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। নির্মাণাধীন ঘরগুলো ঘুরে দেখেন এবং গুনগত মান যাচাই করে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে এসব ঘর উপকার ভোগীদের কাছে বুঝে দেয়ার কথা জানান তিনি।
ঘর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ সাহারিয়া খান বিপ্লব, ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ, সহ আরও অনেকে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, নতুন ঘরে মাথা গোজার ঠাঁই পাচ্ছেন জেনে খুশি উপকারভোগীরা। খাস জমিসহ পাকা ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। বর্তমানে স্বপ্নের গৃহে উঠতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উপকারভোগীরা।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাচাই-বাছাইয়ে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীসহ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ভূমিহীন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ভূমিহীনদের এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরবর্তীতেও গৃহহীনদের জন্য ঘর বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে’।
Leave a reply