জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে
রাজধানীর দিলকুশায় বিএডিসি’র সদর দফতরস্থ কৃষি ভবনসহ বিএডিসি’র সরেজমিন দফতর
সমন্বয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ৩৫টি স্থানে একযোগে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায়
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিএডিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সিবিএসহ সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা বলেন, আমরা অবিলম্বে এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত
কর্মকাণ্ডসমূহের মদদদাতা ও অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে সাংস্কৃতিক
স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারীদের মূলোৎপাটনের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। তারা
বেছে নিয়েছে এমন একটা সময় যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উদযাপনলগ্ন পালন করতে যাচ্ছি। তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের
পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের সচেতন ভূমিকা কামনা করছি।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো.
সায়েদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন
হতো না। তিনি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, তিনি আমাদের অহংকার ও গর্ব। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত করা মানে বাংলাদেশের ওপর আঘাত করা।
তিনি আরও বলেন, বিএডিসি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য সংস্থা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বিএডিসি’র কৃষি ভবনে এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য বিএডিসিকে পুনর্গঠিত করেছিলেন। বিএডিসি পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি কৃষির উন্নতি হলে দেশ উন্নত হবে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিএডিসি’র সভাপতি রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত করে বাংলাদেশকে সেই ডিসেম্বরেই আঘাত করা হলো কেনো? সেটি আমাদের ভাবতে হবে। জাতীয় সংগীত যারা গায় না, যেখানে গাওয়া হয় না, সেসব জায়গা থেকে জাতির পিতার ভাস্কর্যের ওপর আঘাত এসেছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত করলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এটিকে প্রতিরোধ করবে।
‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ স্লোগান ধারণ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ
সমাবেশে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. সায়েদুল ইসলাম, সংস্থার
সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) জনাব মো. আরিফ, সদস্য পরিচালক (অর্থ) জনাব মো. আমিরুল ইসলাম, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) জনাব মো. নূরনবী সরদার এবং সংস্থার সচিব জনাব মো. আনোয়ার ইমাম উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply