দর্শকদের সিনেমাহলমুখী করার মতো কাজ করতে চলচিত্র সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের তাগিদ দিয়ে বলেন, এমনভাবে সিনেমা তৈরি করতে হবে, যেন পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারি। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ১ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনের ঘোষণাও দেন তিনি।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে ২০১৯ সালের জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চলচ্চিত্রের কলাকুশলীদের জীবনমান উন্নয়নে ‘চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠনের’ কথাও জানান শেখ হাসিনা। বিত্তবান শিল্পীদের এই ট্রাস্টে অবদান রাখার আহবানও জানান তিনি।
সমাজ গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ, যত বক্তৃতা দিয়ে মানুষকে যত কথাই বলি না কেন, একটা নাটক, একটা সিনেমা, একটা গানের মধ্য দিয়ে বা একটা কবিতার মধ্যে দিয়ে কিন্তু অনেক কথা বলা যায়, মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায়, মনের গহীনে প্রবেশ করা যায়। সেজন্য এর একটা আবেদন কিন্তু রয়েছে।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এফডিসিকে নতুনভাবে গড়ে তোলার স্বার্থে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মূল অংশে সরিয়ে ফেলা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালে চলচ্চিত্রে অবদানে ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৩৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনেতা মাসুদ পারভেজ-সোহেল রানা ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- তানিম রহমান অংশু, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- তারিক আনাম খান, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- সুনেরাহ বিনতে কামাল।
Leave a reply