দেশের হয়ে পারফর্ম করেই বিশ্বাসেরার খেতাব পেয়েছেন সাকিব আর হাসান। তাইতো ঘরোয়া ক্রিকেটে কে কি করলো বা নিজে ব্যাট বলে জ্বলে উঠতে পারলো কি না সেটা তার কাছে বড় কোন বিষয় নয়। সেগুলো নিয়ে তিনি তেমন কোন চিন্তাও করেন না। তার পরিকল্পনা জুড়েই থাকে লাল সবুজের জার্সি পড়ে নিজেকে উজাড় করে দেয়া। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আগে যখন আইপিএলে মুল একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না তখন পণ করেছিলেন ক্রিকেটের সবচাইতে বড় আসরে নিজেকে চেনাবেন নতুন করে,করেছিলেনও তেমন।
এখানেই সাকি সবার থেকে আলাদা, টাইগার ক্রিকেটের রাজপুত্র জানেন কোথায় নিজের সেরাটা দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে ব্যাট বলে জ্বলে উঠতে পারেননি তবে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ঠিকই গুড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। বল হাতে চার উইকেট তাও আবার মাত্র ৮ রান দিয়ে ব্যাট হাতে করেছেন ১৯ রান। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতেই।
ম্যাচ শেষে সাকিব নিজেই বললেন নিজের ফিরে আসার কথা, ঠিক জায়গায় বল করাতেই মনোযোগ দিয়েছি, বাকি কাজ পিচই করে দিয়েছে। এভাবেই আসলে হয়েছে এই পারফর্মেন্স।
ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা বলতেই সাকিব বললেন, সত্যি বলতে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেসব ম্যাচ খেলেছি সেগুলো আমি কখনোই গোণায় ধরিনি। ড্রেসিংরুমের বাইরে মানুষ হয়ত ঠিকই সেসব পারফরম্যান্স নিয়ে ভেবেছে। কিন্তু আমি ওসব নিয়ে ভাবিনি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আজ ভালো ব্যাটিং করছিলাম, কিন্তু আউট হয়ে গিয়েছি। তবে পরের ম্যাচে ভালো করার চেষ্টা করব।
দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে মাঠে নেমেছিলো টাইগার ক্রিকেটাররা। তাই আত্মবিশ্বাসে কিছুটা ঘাটতি ছিলো দলের সবারই। এই ব্যাপারে মিস্টার আল হাসান জানান, এতদিন পর মাঠে ফেরা নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে আমরা সবাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে আমি মনে করি আজকের জয় আমাদের প্রশান্তি দিবে এবং পরের ম্যাচেও ভালো করতে সহায়তা করবে।
সাকিবের মতই দেশের ক্রিকেট পাগলদেরও প্রত্যাশা পরের ম্যাচে আরো ভালো করবে টাইগার ক্রিকেটাররা।
Leave a reply