পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের শঙ্কায় মাঠ দখলে রাখতে বহিরাগতদের আমদানি করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার। এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদার উদ্দিন মাসুম ব্যাপারী।
তিনি বলেন, বার বার লিখিত অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। তবে কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, বিগত নির্বাচনগুলোতে নৌকার লাগাতার পরাজয় হওয়ায় এবার জয় পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীরা জানান, নৌকার প্রচারণা চালাতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে অনেক নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে। যারা পৌর শহরে মোটরসাইকেলে মহড়া দিচ্ছেন। এতে উৎকণ্ঠায় ভুগছেন সাধারণ ভোটাররা।
ভোটাররা জানান, সাধারণ মানুষ নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদারের কাছ থেকে নাগরিক সুবিধা পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হওয়ায় তিনি অনেকটা জন-বিচ্ছিন্ন। বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্যায়ভাবে বহিরাগতদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোটের মাঠ থেকে সরাতে তিনি ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এছাড়া দফায় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকায় ভোটারদের হুমকি দেয়া হয়েছে।
কলাপাড়া পৌরসভায় মোট ভোটার ১২ হাজার ৮৯১ জন হলেও বর্তমানে এখানে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) দিদার উদ্দিন মাসুম ব্যাপারী অভিযোগ করেন, কলাপাড়া পৌরসভায় ভোটারের চেয়ে বহিরাগতের সংখ্যা বেশি। বহিরাগতদের এমন মহড়ায় আতঙ্কিত ও শঙ্কিত এলাকাবাসী।
মাসুম ব্যাপারী আরও জানান, নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীরা যেসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বলেন, ভোট দেয়া মানুষের অধিকার। সেই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তবে সকল প্রকার অভিযোগ অস্বীকার করেন নৌকার প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার।
রিটার্নিং অফিসার মো. জিয়াউর রহমান খলিফা জানান, ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়ে কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে যে তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Leave a reply