টেস্ট স্কোয়াডে যখন পাঁচ পেস বোলারকে যুক্ত করা হয় তখন মনেই হচ্ছিলো টাইগারদের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিবে পেসাররাই। তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান এই পেসারদের উপর ভরসা রাখতে পারেননি টিম ম্যানেজমেন্ট।
মোস্তাফিজকে প্রথম টেস্টে খেলালেও দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামানো হয়েছিল রাহিকে। তবে খুব বেশি কি হতাশ করেছে রাহি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তার সমীকরণই বলে দিবে তার পারফরমেন্সের গ্রাফটা। এই সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে রাহি বল করেছিলেন ২৮ ওভার যেখানে রান দিয়েছেন ৯৮। মেডেন ওভার করেছিলেন ৬টি। আর উইকেট নিয়েছেন ৪টি। ইকোনমি রেট ছিলো ৩ দশমিক ৫০ যা একজন বোলারের জন্য সাফল্যই বলা চলে।
এবার আসি দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডিজকে মাত্র ১১৭ রানে বেধে ফেলার ক্ষেত্রে কেমন অবদান ছিলো রাহির? সিলেটের এই পেস বোলারকে দিয়ে ক্যাপ্টেন বল করিয়েছেন মাত্র ১০ ওবার যেখানে ৩ দশমিক ২০ ইকোনমি রেটে তিনি রান দিয়েছেন ৩২ আর উইকেট শিকার করেছেন দুইটি।
হিসেব বলছে এক ম্যাচে ১৩০ রান দিয়ে রাহি নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রতি উইকেটের পেছনে তাকে খরচ করতে হয়েছে ২১ রানের কিছু বেশি। রাহির এমন পারফর্মেন্স কখনই ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়া যাবে না।
এই পেসারের সমীকরণ বলছে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে পেস বোলারদের হাতেই বোলিংয়ের নেতৃত্ব তুলে দিতে পারতেন। তাসকিন,ইবাদত ও হাসান মাহমুদকে চাইলেই কাজে লাগাতে পারতেন এই সিরিজ। সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ পেসার। আসলে হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের মনেই ছিলো না নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলতে হলে পেসারদের দিকেই নজর দেয়া জরুরী ছিলো।
Leave a reply