মিসরে তাহরির স্কয়ারের যাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ৩ হাজার বছরের পুরোনো ২২টি মমি। যার ১৮টি রাজা এবং বাকি ৪টি রানীর মমি। আজ এগুলো সরিয়ে নেয়ার সময় কায়রোর সড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা চলবে প্রদর্শনী। যা টেলিভিশনে সরাসরি দেখা যাবে।
আয়োজকরা জানান, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর ধারণার পাশাপাশি পর্যটক টানতেই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিন হাজার বছরের পুরনো এই মমি গুলো মিসরের রাজা-রানীদের। এগুলো প্রায় ১২০ বছরের পুরনো। তাহরির স্কয়ারের যাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সভ্যতার যাদুঘরে।
বিনোদন ছাড়াও, এর মাধ্যমে আগ্রহীরা যেন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্যই বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে একসাথে রাখা হচ্ছে মমিগুলো।
মিসরের ইতিহাসবিদ জাহি হাওস বলেন, মমিগুলো মিসরীয় জাদুঘর থেকে সভ্যতার যাদুঘরে যাত্রা করবে। আমি মনে করি এটি বিশ্বের যেখানেই নেয়া হোকনা কেন আলাদা একটা উদ্দীপনা তৈরি করবে। তবে এটি শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, যেন সবাই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাই সভ্যতার যাদুঘরটি বেছে নেয়া।
এদিন সর্ব-সাধারণের জন্য চলমান প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কায়রোর বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা গাড়িতে করে চলবে এই আয়োজন। আর পুরো স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হবে অর্ধ শতাধিক দেশে।
কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সেলিমা ইকরাম বলেন, নিজেদের অতীত সম্পর্কে যেন সবাই জানতে পারে তাই সড়কে এভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিহাস ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এখন মিশরের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এই মমি।
মূলত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে মিসরে পর্যটক টানতেই এমন প্রদর্শনী করা হচ্ছে। তথ্য বলছে, গেলো বছর মাত্র ৩৫ লাখ পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করে। অথচ ২০১৯ সালেও এই সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি।
Leave a reply