করোনাকালেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই রাজধানীর বস্তিগুলোতে। আবার বস্তিবাসীদের সুরক্ষায় সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি। বস্তিতে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি বা মারাও যায়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। তবে আশঙ্কা, এসব মানুষ সংক্রমিত হতে শুরু করলে বিরাট হুমকির মুখে পড়বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তাই দ্রুত বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে বসবাস করে অন্তত লাখ দেড়েক মানুষ। অথচ এখানে মানুষের চলাচলের চিত্র দেখলে বুঝার উপায় নেই যে দেশে করোনায় রোজ মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়াচ্ছে পুরনো সব রেকর্ড।
একই রকম অবস্থা মহাখালীর সাততলাসহ অন্যান্য বস্তিতেও। বাসিন্দারা বলছেন, অন্য সময়ের মত চলছে তাদের জীবন। গত এক বছরে তাদের জানা মতে কেউই কোভিড পরীক্ষা করাননি। এমনকি কেউ আক্রান্ত হয়েছে, সেই তথ্যও জানেন না তারা। দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষের বিশ্বাস করোনা হবে না তাদের। আর এর পক্ষে অসংখ্য যুক্তি এখানকার বাসিন্দাদের।
চিকিৎসকরাও বলছেন, এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত বস্তিবাসী তারা পাননি বললেই চলে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে আক্রান্ত কম হচ্ছেন বা হলেও তা মৃদু মাত্রার বলে ধারণা তাদের।
কোনো কারণে এসব ঘিঞ্জি এলাকায় সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
ঢাকার বস্তিগুলোতে বসবাস অন্তত ১০ লাখ মানুষের। তাদের সচেতনতা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও জরুরি বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
ইউএইচ/
Leave a reply