জতীয় দলের টেস্ট ক্যাপ্টেন হওয়ার পরে মুমিনুলের সাফল্য বলতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়। এর পরে টানা হেরেছে ভারত, পাকিস্তান ও উন্ডিজের বিপক্ষে। এসব হারের পর মুমিনুলকে সহ্য করতে হয়েছে নানা কথা। তবে সব সমালোচনার জবাব মুমিনুল দিয়েছেন ব্যাট হাতে। দেশের বাইরে নিজের প্রথম ও ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির মুখ দেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। প্রথম ইনিংসে অপ্রত্যাশিত ভাবেই সেঞ্চুরি মিস করেন তামিম ইকবাল। দুই ইনিংসেই হতাশ করেছেন সাইফ হাসান।
তারপরও এই টেস্টে ড্র করাই নিজেদের বড় সাফল্য মনে করছেন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, এই টেস্টে ড্র করেছি সেটাই ভালো, এর চাইতে আর বেশি কিছু আশা করাটা কঠিন ছিল আমাদের জন্য।
ব্যাটাররা রানে ফিরেছে, ৫ বোলার নিয়ে আমরা মাঠে খেলেছি যা আমাদের জন্য একটু চ্যালেঞ্জিংও ছিল। ৬ ব্যাটার নিয়ে আগে কখনো আমরা খেলিনি। তিনি বলেন, আমার মনে হয় সেই কারনেই ব্যাটসম্যানরা বাড়তি দায়িত্ব পালন করেছেন এই ম্যাচে।
এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বল হাতে তাসকিন ম্যাচ খেলেছেন ৬টি। এই টেস্টে তাকে কেমন দেখলেন? মুমিনুল সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, তাসকিনের বোলিং দেখে মনেই হচ্ছিলো না, সে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬টি টেস্ট খেলেছে তার পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। দারুণ করেছে সে, বিশেষ করে লাইন লেন্থ ঠিক রেখে টেস্টে ঠিক যেভাবে বল করতে হয় সেভাবেই বল করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কার দেওয়া ১০৭ রানের লিডের জবাব দিতে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই শূন্যরানে ও ১ রানে মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসান। এর পরেই তামিম ও মুমিনুল দায়িত্ব নেন টাইগারদের ইনিংস মেরামতের। কিন্তু তামিম দ্রুত রান তুললেও মুমিনুল এগিয়েছেন ধীরগতিতে।
কেন এমন ব্যাটি ধীর গতির ব্যাটিং এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন বলেন, আমলে তামির যেভাবে ব্যাট করেছে সেটা তার স্বাভাবিক আর আমি যে ভাবে ব্যাট করেছি সেটা আমার স্বাভাবিক ব্যাটিং। তাই এটি নিয়ে আমার নতুন করে বলার কিছু নেই।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ক্যান্ডিতে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামেই দ্বিতীয় টেস্টটিও অনুষ্ঠিত হবে। সেই টেস্টে নিজেদের সেরাটাই দেওয়ার প্রত্যাশা মুমিনুলের।
Leave a reply