কেবল স্বাস্থ্যসেবা নয়, মহামারির ভয়াবহতায় ভেঙে পড়ার পথে ভারতের রাজধানীর শেষকৃত্য ব্যবস্থাও। নতুন শ্মশান তৈরি কিংবা গণদাহ করেও সামাল দেয়া যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এমনকি শ্মশানে চিতা জ্বালানোর কাঠ সরবরাহ করতেই হিমশিম অবস্থা। এদিকে কোনোভাবেই সংক্রমণ না কমায় ঘরের ভেতরও মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ।
এক মুহুর্ত দম ফেলারও ফুরসত নেই শ্মশানকর্মীদের। একের পর এক লাশের সারি সাজিয়েই চলেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা সকলে পেশাদার কর্মী। তবু এতো মৃত্যু-আর্তনাদ কাঁদাচ্ছে তাদেরও।
প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ায় চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজধানীর সব শ্মশানকেই। তৈরি হচ্ছে নতুন নুতন অস্থায়ী শ্মশান। অনেক জায়গাতেই চলছে গণদাহ। দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা চিতা জ্বলায় জ্বালানি কাঠের যোগান দিতেও রীতিমতো নাজেহাল কর্তৃপক্ষ।
অস্থায়ী হাসপাতাল, অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে দিল্লির রাজ্য সরকারের।
দিল্লির অন্যতম বৃহৎ মুসলিম কবরস্থান ‘জাভিদ আহলে ইসলাম’-এ ফুরিয়ে এসেছে নতুন কবরের জায়গা। এ পরিস্থিতিতে পারিবারিক পুরনো কবরেই পুনরায় দাফনের পরামর্শ দিয়েছে তারা।
Leave a reply