এক সময় করোনা টেস্ট কিটের দাম ছিলো দুই হাজার আটশ টাকা। নমুনা পরীক্ষার জন্য বেসরকারি পর্যায়ে নেয়া হতো সাড়ে তিন হাজার। এখন ওই কিটের দাম ব্র্যান্ডভেদে কমে এসেছে ৯৫০ টাকা থেকে ৯৮০ টাকায় অথচ পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় সেই সাড়ে তিন হাজার টাকাই। বাসা থেকে স্যাম্পল কালেকশন করলে দিতে হয় সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
কিটের দাম অর্ধেকের বেশি কমলেও বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ফি নিয়ে একেকরকম তথ্য মিলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলদের কথায়। বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশন ও অধিদপ্তরের দীর্ঘসূত্রতায় মহামারিতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
সংক্রমণের এক বছরের বেশি হলেও করোনা পরীক্ষা সহজ হয়নি। নির্দিষ্ট সংখ্যক উপসর্গধারী প্রতিদিন নমুনা দেয়ার সুযোগ পান সরকারি বিভিন্ন কেন্দ্রে। বাকিদের যেতে হয় বেসরকারি খাতে যেখানে ফি অনেক।
অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বেসরকারি মেডিকেল এসোসিয়েশনের বৈঠকে নতুন ফি নির্ধারণ হলেও সেটি নিয়ে দু’রকম তথ্য মিলেছে দু’পক্ষের কাছ থেকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক ও সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, কোভিড ১৯ এর জন্য যদি কেউ সিটি স্ক্যান করে সেটার মূল্যনির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং এটি নির্দিষ্ট। নমুনা পরীক্ষার জন্য বেসরকারি পর্যায়ে নেয়া হবে ১৫০০ টাকা আর বাসা থেকে নমুনা নিয়ে গেলে নেয়া হবে ২০০০ টাকা। এর থেকে বেশি কেউ রেখে থাকলে তারা সেটা ভুল করছে।
বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, যেটা ৩৫০০ ছিলো সেটা ৩০০০ করা হয়েছে আর হোম কালেকশন যেটা ৪৫০০ টাকা ছিলো সেটা ৩৭০০ টাকা করা হয়েছে।
Leave a reply