কর্মস্থল নরসিংদী থেকে পটুয়াখালীর দশমিনায় যাচ্ছেন আরিফ হোসেন, ভাগ্নে প্রিন্স ও প্রতিবেশি সোহাগ।
এদের একেকজনের কর্মস্থল থেকে দুই দফা লোকাল বাস পাল্টে চট্টগ্রাম সড়ক হয়ে যাত্রাবাড়ি থেকে পোস্তগোলায় নেমে দেড় কিলোমিটার পায়ে হেটে হাসনাবাদ থেকে বালুটানা পিকআপে কুচিয়ামারা সেতু এরপর অটোরিক্সায় মাওয়া প্রান্তে নেমে ২ কিলোমিটার পায়ে হেটে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছতে খরচ হয়ে যায় ১৫শ’ টাকা প্রায়। এরপর কোনোমতে গাদাগাদি করে ফেরি পার হয়ে পড়েন আরও বিপাকে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে বেদেদের যন্ত্রণা সয়ে বরিশাল পর্যন্ত মোটরসাইকেল ভাড়া চায় প্রতিজন ১ হাজার টাকা। পরে মাইক্রোবাসে চড়ে ৭শ’ টাকা করে রওনা করে বরিশাল পর্যন্ত।
শুধু আরিফ হোসেনই নয়, গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণায় এই রুট ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রীকে হাজারো ভোগান্তি ও ৪-৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে। যাত্রীর চাপ অব্যাহত থাকায় মটরসাইকেল, ৩ চাকার হালকা যানবাহনই ছুটছে দূরদূরান্তের জেলাগুলোতে। তবে গতকাল মঙ্গলবার (১১ মে) থেকে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসগুলোও ৩ গুণেরও বেশি ভাড়া নিয়ে চলছে। এ সকল যানবাহনের কাছ থেকে মহাসড়কগুলোতে পুলিশ উৎকোচ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাস ও মাইক্রোবাসগুলোতে কয়েকগুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী গাদাগাদি করে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। ঘাট এলাকাজুড়ে পুলিশ অবস্থান করছিলো। বাড়তি ভাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী বা অবৈধ যানবাহনের চলাচল কোনো কিছুতেই পুলিশের হস্তক্ষেপ যমুনা টেলিভিশনের চোখে পড়েনি। তবে বেদেদের হয়রানির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর হয়।
বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহনগুলোতে বরিশালে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫শ’ টাকা, খুলনা ৭শ’ টাকা, মাদারীপুর ৩শ’ টাকা, বাগেরহাট ৬শ’ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
Leave a reply