জাতীয় দলে ফেরা সৌম্য সরকারের ঝড়ো ইনিংস এবং মুশফিকুর রহিমের টি২০ মার্কা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভর করে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে রেকর্ড পরিমান রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এতেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি টাইগাররা।
টাইগারদের ৫ উইকেটে গড়া ১৯৩ রানের ইনিংসকে ৬ উইকেটে জিতে নেয় সফরকারী হাথুরু অ্যান্ড কোং। একেবারে সহজ জয় বলা যায়, কেননা লংকানরা ২০ বল হাতে থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ রান ছিল লংকানদের মাটিতেই, ৭ উইকেটে ১৮১ রান।
ইনিংসের শুরুতে শ্রীলংকার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদ্বয় রানের ঝড় বইয়ে দেন। গুনাথিলাকা মাত্র ১৫ বলে ৩০ রান করেন। অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ২৭ বলে ৫৩ রান করেন।
এই দু’টি উইকেটের পতনের পর রানের গতি কিছুটা কমলেও বাংলাদেশি বোলাররা লংকান ঝড়ে লাগাম টানতে পারেননি। ধানুশকা শানাকা’র ২৪ বলে ৪২, এবং থিসেরা পেরেরা’র ১৮ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস দু’টি ম্যাচ জয় করে মাঠ ছাড়ে।
বাংলাদেশে পক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছেন নাজমুল ইসলাম, এবং ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন ও আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই অভিষিক্ত জাকির হাসানের সাথে ওপেন করতে নেমে সৌম্য সরকার গড়ে দিয়েছেন ভিত। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে করেছেন ৩২ বলে ৫১ রান। এটি টি২০-তে তার পঞ্চম অর্ধ শতক।
অনেকদিন পর ওয়ান ডাউনে নেমে সৌম্যর সাথে ৫১ রানের জুটি গড়া মুশফিকুর রহিমও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে গড়েছেন ৭৩ রানে ঝড়ো জুটি। মুশফিকের ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৬ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৩১ বলে ৪৩ রানে ভর করে স্কোরবোর্ড ১৯৩ রান জমা করে টাইগাররা।
লংকানদের পক্ষে ২টি উইকেট লাভ করেন জিবন, এবং ১টি করে উইকেট পেয়েছেন গুনাথিলাকা, উদানা, থিসারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলংকা: ১৬.৪ ওভারে ১৯৪/৪ (মেন্ডিস ৫৩,গুনাথিলাকা ৩০,থারাঙ্গা ৪,শানাকা ৪২, ডিকভেলা ১১, পেরেরা ৩৯; নাজমুল ২/২৫, সাইফুদ্দিন ০/৩৩, মাহমুদুল্লাহ ০/২৩, রুবেল ১/৫২, মুস্তাফিজ ০/৩২, আফিফ ১/২৬)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (জাকির ১০, সৌম্য ৫১, মুশফিক ৬৬*, মাহমুদউল্লাহ ৪৩, সাব্বির ১, আরিফুল ১*; মাদুশাঙ্কা ০/৩৯, গুনাথিলাকা ১/১৬, উদানা ১/৪৫, থিসারা ১/৩৬, দনঞ্জয়া ০/৩২, জিবন ২/২১)
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply