৩৩৩ তে খাদ্য সহায়তার কল পেয়েই ছুটলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। নিশ্চিত কোনো অভাবগ্রস্ত পরিবার কষ্টে আছে। সে ভাবনাতেই যেন দেরি করা অন্যায় ভাবলেন তিনি। কিছুদূর গাড়িতে যাওয়ার পর দেখলেন যিনি কল করেছেন তার বাড়িতে যেতে হবে নদী পার হয়ে। দ্রুত খাবার পৌঁছানোর তাড়নায় নৌকায় পাড়ি দিলেন নদীপথ। এরপর আবার সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে পৌঁছলেন যিনি কল করেছেন তার বাসার সামনে। কিন্তু বাসা দেখেই তো চক্ষু চড়কগাছ! এ যে তিনতলা ভবন। ওই বাড়ির ১৯ বছর বয়সী যুবক শাহাদাত হোসেন সাকিব ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছে।
তার কাছে খাদ্য সহায়তা চেয়ে কল করার কারণ জানতে চাইলে জানায়, এই সেবা সত্যিই পাওয়া যায় কি না তা যাচাই করতেই কল দিয়েছি। শুনে হতভম্ব উপজেলা কর্মকর্তার।
হাটহাজারী উপজেলা কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, কল পেয়েই আমরা খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে যাই। কিন্তু ওই যুবকের সাথে কথা বলে জানতে পারি তাদের তিনতলা ভবনটির নিচ তলায় তারা থাকে। উপরের দুই তলায় তার চাচারা থাকে। তারা সচ্ছল, শুধুমাত্র যাচাই করতেই সে কল করছে।
শাহাদাত হোসেন সাকিব জানায়, এটি ভুল হয়েছে। আমি অনুতপ্ত। আসলে ইউএনও অ্যাক্টিভ আছেন কিনা, আর সেবাটি সত্যিই পাওয়া যায় কিনা সেটি যাচাই করতেই কল করেছিলাম।
এ ঘটনায় ওই যুবককে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। তবে এমন কাজ আর না করতে সতর্ক করা হয়েছে।
Leave a reply