কুড়িগ্রামে যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই সেসব স্থান দিয়ে অবাধে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ভারতীয় নাগরিকরা।
স্থানীয়রা জানান, বাজারঘাট করাসহ নানা প্রয়োজনে অনুপ্রবেশ করে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকরা। অবাধ এই চলাচলের কারণে সীমান্ত এলাকায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা স্বাস্থ্য বিভাগের। যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সচেতন নন স্থানীয়রা।
পিলারের এপারে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ছোট খামার গ্রাম। ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার ফাইসার কুটি গ্রাম। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় দু’দেশের মানুষের অনেকটা অবাধ চলাচল এখানে।
একই চিত্র ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশজানি গ্রামে। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় এখান দিয়েও প্রায়ই বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় নাগরিকরা।
কুড়িগ্রামে স্থলপথে ভারতের সাথে সীমান্ত ২৭৯ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই সীমান্তে ৩২ কিলোমিটারে নেই কাঁটাতারের বেড়া। অভিযোগ আছে সীমান্তের এসব এলাকা দিয়ে ভারতীয় নাগরিকরা প্রায়ই বাংলাদেশে ঢুকে বাজারঘাট করেন।
কুড়িগ্রামের সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামকে ভোগাচ্ছে করোনাভাইরাস। ভারতীয় নাগরিকদের চলাচল সীমান্ত এলাকায় বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সচেতন নন এসব এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, আমরা যদিও মিশতেছি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের সাথে, তবে আমাদের এখানে করোনার কোন সমস্যা নেই। এছাড়া আরও বলেন কোন সমস্যা হয়নি হচ্ছে না তাদের।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান সীমান্ত এলাকায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা জানান।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এনএনআর/
Leave a reply