৩০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার

|

বৃক্ষরোপণ অভিযানকে টেকসই, কার্যকর ও স্বতঃস্ফূর্ত রূপ দেয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯’ এর জন্য ১৪ ব্যক্তি ও ১৬ প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করেছে সরকার।

গত রোববার (৬ জুন) এই মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়। এবার স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে সাতক্ষীরার ধানদিয়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, নরসিংদীর কাজী মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এবং পটুয়াখালীর শিয়ালী তালেমুন কুরআন নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা মনোনীত হয়েছে।

কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য পটুয়াখালী মৌকরণ বি এল পি ডিগ্রি কলেজ, আছমত আলী খান কলেজ এবং খুলনার আলহাজ মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজকে মনোনীত করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ এবং পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা মনোনীত হয়েছে।

অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সেক্টর কর্পোরেশন ও প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে যথাক্রমে খুলনার আরআরএফ এবং পটুয়াখালীর পৌর বিভাগ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্ৰ।

এনজিও/ক্লাব/স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে কুষ্টিয়ার বনায়ন এবং বাংলাদেশ স্কাউটস, পঞ্চগড় মনোনীত হয়েছে।

‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সামাজিক বন বিভাগ, সাতক্ষীরার সামাজিক বন বিভাগ যশোর (এসএফএনটিসি) এবং কক্সবাজারের বাঘখালী রেঞ্জের উত্তর বন বিভাগ মনোনীত হয়েছে।

বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ঢাকার কলাবাগানের নাহিদা বারিক, দিনাজপুরের রাখী দে এবং রাজশাহীর ওয়াহিদা ইয়াসমিন।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে খাগড়াছড়ির উনুচিং মারমা, মুন্সীগঞ্জের পারভীন সিরাজ এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে নাটোরের ইসাক আহমেদ ও মৌলভীবাজারের মেহেদী হাসান কবির মনোনীত হয়েছেন।

বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য রাজবাড়ীর আব্দুল হাকিম মণ্ডল, চট্টগ্রামের মোকাম্মেল হক খান এবং মৌলভীবাজারের হৃদয় চন্দ্ৰ দেবনাথকে মনোনীত করা হয়েছে।

‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে সাভারের উত্তরা ভাই ভাই নার্সারি, চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ নার্সারি এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যৌথভাবে মৌলভীবাজারের বৃক্ষবন্ধু নার্সারি ও খুলনার সততা নার্সারি মনোনয়ন পেয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে বনমন্ত্রী বলেন, সরকার গত অর্থবছরে দেশে আট কোটির অধিক বৃক্ষরোপণ করেছে। এবারও আট কোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে। সরকারের পাশাপশি ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।

উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপণে যারা বিশেষ অবদান রাখেন তাদেরকে ১৯৯৩ সাল থেকে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার’ দেয়া হয়। বিজয়ীদের সনদপত্রের সঙ্গে প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply