প্রথমবারের মতো বেতন কাঠামোয় আসছে ফুটবলাররা

|

জাতীয় দলের পুলভুক্ত ৩০ জন ফুটবলারের জন্য থাকবে তিন স্তরের বেতন কাঠামো। কাতার থেকে দল দেশে ফিরলে তাদের সাথে কথা বলেই চূড়ান্ত করা হবে এ সংক্রান্ত নীতিমালা। জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। এর আগে বিকেলে দেশে থাকা জাতীয় দলের ৫ ফুটবলারের সাথে বৈঠক করেন তিনি।

জানা গেছে, হঠাৎ করেই কাতার সফরে যেতে না পারা ৫ ফুটবলারের সাথে বৈঠক ডাকেন বাফুফে সভাপতি। নির্ধারিত সময়ে হাজিরও হলেন রানা, সাদ, বাদশাহ, বিশ্বনাথ আর সুফিল। প্রায় ঘন্টাখানেকের মিটিং শেষে এলো ফুটবলারদের জন্য দারুণ এক সুখবর।

সুখবরটি হলো, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন গঠিত হবার পর প্রথমবারের মত বেতন কাঠামোর আওতায় আসতে যাচ্ছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।

কিন্তু সেই চুক্তিটি হবে কীভাবে? কতজন থাকবেন এই চুক্তির আওতায়? কয় ক্যাটাগরিতেই বা ভাগ করা হবে ফুটবলারদের। সব নিয়ে একটি ধারণা দিলেন বাফুফে সভাপতি।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন জানান, একটি পেশাদার মনোভাব গড়ে তোলাই হচ্ছে এই বেতন কাঠামোর উদ্দেশ্য। এখানে জাতীয় দলের ৩০ জন ফুটবলার থাকবেন তিনটি ক্যাটাগরিতে। প্রথম ১৫ জন এ, পরের ১০ জন বি এবং তারপরের ৫ জন থাকবেন সি ক্যাটাগরিতে। এসব ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নির্ভর করবে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সের উপর। এতে করে খেলোয়াড়দের ২০ শতাংশ ইনজুরিকে শতভাগে নিয়ে গিয়ে বিশ্রাম করার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করেন তিনি।

তবে কাজী সালাহউদ্দিনের এমন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটবে ৯ মাস পর। যদিও কর্মপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে চলতি প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী রাউন্ড থেকেই। বাফুফে বসের এমন পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফুটবলাররা। আর এমনটি হলে সেটা জাতীয় দলের পারফরমেন্সে বড় ভুমিকা রাখবে বলেও মত দিলেন তারা।

বাফুফের সভাপতির এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনাতে নিশ্চিত করেই বলা যায় বেতনকাঠামো জাতীয় দলের ফুটবলারদের আরো দায়িত্বশীল করবে। এমনকি পাল্টে যাবে ফুটবলারদের চিন্তাভাবনাও, এমনটাই বিশ্বাস ফুটবলবোদ্ধাদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply