চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য ১২টি খালের মুখে বাঁধ দেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশনের পথ। ফলে জলাবদ্ধতার নাকাল হতে হচ্ছে চট্টগ্রামের নাগরিকদের।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বড় একটি খাল রাজাখালি। স্লুইস গেইট নির্মাণের জন্য ৭৫ মিটার চওড়া
এই খালের মুখ বন্ধ করে বাঁধ দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ। একই চিত্র মরিয়ম বিবি খালের মুখেও। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছোট-বড় ৩৬টি খালের মধ্যে, ১২টির মুখেই দেওয়া হয়েছে এমন বাঁধ। স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধের কারণে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায়, জলাবদ্ধতার মাত্রা বাড়ছে।
খালের মুখে বাঁধ দেয়ার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি নিয়ে একমত চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সম্প্রতি নগর ভবনে সমন্বয় বৈঠকে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনতে খালের মুখে দেয়া বাঁধ বর্ষা মৌসুমের আগেই খুলে দেয়ার জন্য সিডিএ’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, খালের মুখে থাকা বাঁধ দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পানি নেমে যেতে না পারলে চট্টগ্রাম শহরকে আসন্ন বর্ষায় একবেলা পানিতে ডুবে থাকতে হবে।
তবে বাঁধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, কাজ পুরো শেষ না করে বাঁধ নির্মাণ করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্ণেল শাহ আলী জানান, জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে বাঁধগুলো ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
আসন্ন বর্ষার আগে পুরোপুরি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply