শুক্রবার (১৮ জুন) থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হবে সাউদাম্পটনে, যেখানে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। এই লড়াইয়ের আগে একাদশ নিয়ে মধুর সঙ্কটে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। কাইল জেমিসনকে তুরুপের তাস ভাবছেন দলটির কোচ গ্যারি স্টিড। আর কিউই পেসারদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রোহিত শর্মাকে ভারতের প্রধান অস্ত্র ভাবছেন সুনীল গাভাস্কার।
বার্মিংহাম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ড প্রমাণ করেছে গত ৭ বছরের বদলে যাওয়াটা আজ তাদের নিয়ে গেছে বিশ্বসেরার খুব কাছে।
তারা এতটাই দুধর্ষ যে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন; আর বোলিং আক্রমণের দুই ভরসা ট্রেন্ট বোল্ট ও কাইল জেমিসনকে ছাড়াই হারিয়েছে ঘরের মাঠে দুর্বার ইংলিশদের। দলটা এতটাই দুর্দান্ত যে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ম্যাট হেনরিকে পর্যন্ত ফাইনালের একাদশে সুযোগ দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য। কারণ মৌসুম জুড়ে কাইল জেমিসনের দুর্দান্ত ফর্ম। ৬ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নিয়েছেন জেমিসন। দীর্ঘ শরীরের কারণে উইকেট থেকে বাউন্স ও সুইং আদায় করতে পারেন, ব্যাটিংয়ের হাতটাও মন্দ নয়। আর তাই কোচ গ্যারি স্টিডের তুরুপের তাস ঐ কাইল জেমিসন।
নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, কাইল যে কোন টেস্ট দলের জন্য খুব কাঙ্ক্ষিত একজন ক্রিকেটার। ও ব্যবধান গড়ে দেয় সবসময়। ওর ব্যাটের হাতটাও দারুণ। আমি তো ওকে কোনো একদিন ৭ নাম্বারে দেখতে চাই। নিঃসন্দেহে ভারত সেরা টেস্ট প্রতিপক্ষ। ওদের বিরুদ্ধে কাইলের রেকর্ডটাও দারুণ।
জেমিসনের সাথে তার সতীর্থ পেসার সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনার মিলে তৈরি করেছেন ভয়ঙ্করতম পেস অ্যাটক। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই চারের শিকার ১৫৩ উইকেট। তাদের মোকাবেলায় চিড়ে-চ্যাপ্টা হবার আশঙ্কা আছে ভারতেরও। তবে তাদের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপে দারুণ ফর্মে আছেন রোহিত শর্মা। সুনীল গাভাস্কারের মতে কোহলি নয়, রোহিতকেই দেখাতে হবে পথ।
গাভাস্কার বলেন, যদিও রোহিত অস্ট্রেলিয়ায় খুব ভালো খেলেনি। কিন্তু, কামিন্স-হ্যাজলউডদের বিপক্ষে দারুণ সাবলীল ছিল সে। ওদের ৯০ মাইলের ওপরের বলগুলোকে এমনভাবে খেলছিল যেন বলের গতি ঘণ্টায় ৪০ মাইল। ও অনেক বেশি সময় পায় একজন পেসারকে খেলার জন্য।
ইংল্যান্ডের মাটিতে রোহিত শর্মার রেকর্ড খুব একটা ভালো হয়। একটি মাত্র টেস্ট খেলেছেন এখন পর্যন্ত আর রান ৩৪। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আছেন দারুণ ফর্মে। ১১ ম্যাচে ৬৪ গড়ে করেছেন ১০৩০ রান, আছে ৪ সেঞ্চুরি। তো এমন একজনের ওপর তো ভরসা করতেই পারে ভারত।
Leave a reply