মিয়ানমারের তাতমাডা প্যারেড গ্রাউন্ডে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক এসওয়াই ৪০০ স্বল্প পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত এপ্রিলে চীন থেকে আসা এসওয়াই ৪০০ যা ডিএফ ১২ এ নামেও পরিচিত স্বল্প পাল্লার ব্যালাস্টিক মিসাইল সিস্টেমের প্রথম ব্যাচটি রিসিভ করে মিয়ানমার। ফলে বিশ্বে এসওয়াই ৪০০ গাইডেড রকেট আর্টিলারির তৃতীয় ব্যবহারকারী হলো দেশটি।
অত্যাধুনিক ও স্বল্পমাত্রার এই ব্যালাস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ৪০০ কিলোমিটার। চীন ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার এসওয়াই ৪০০ ব্যালাস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে। ২০১৭ সালে কাতার প্রথমবারের মত তাদের এক সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে এসওয়াই ৪০০ প্রদর্শন করেছিল। চীনের অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশনের ডেভেলপ করা এসওয়াই ৪০০ একটি নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল সিস্টেম। যা স্বল্প পাল্লায় নির্ভুলভাবে শত্রুকে আঘাতের জন্য ব্যবহার করা হয়।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এয়ার শো চায়না নামক প্রদর্শনীতে এসব স্বল্প পাল্লার এসওয়াই ৪০০ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মত প্রদর্শন করা হয়। এর আরেক নাম ডিএফ ১২ এ। এর স্টান্ডার্ড কনফিগারেশনে আটটি কনটেইনারে সলিড ফুয়েল মিসাইল থাকে। কারখানা থেকেই এসব কনটেইনারে মিসাইল স্থাপন করে দেয়া হয় এবং কোনোরকম রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া বহু বছর এগুলো সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এসওয়াই ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ওয়্যারহেড ব্যবহার করা যায়।
এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র জিপিএস/আইএনএস গাইডেন্স সিস্টেম সজ্জিত। চারটি কন্ট্রোল সারফেস ও স্যাবিলাইজিং উইংসের সাহায্যে এটি লক্ষ্যবস্তুর দিকে নিক্ষেপ করা যায়। লঞ্চ করার পরও এই মিসাইলের পাল্লা কমানো-বাড়ানো যায়।
এসওয়াই-৪০০ মিসাইল ল্যান্সার ইউনিটগুলো চীন নির্মিত ১৬ চাকার ওয়ানশান মিলিটারি ট্রাক চেসিসের ওপর বসানো। ট্রাকগুলো চলে ৫১৭ হর্স পাওয়ারের ডুয়েল ডিজেল ইঞ্জিনে। সড়কপথে যার সর্বোচ্চ গতি ৭৫ কি.মি./ঘণ্টা এবং সর্বোচ্চ ক্রুজিং রেঞ্জ ৬৫০ কি.মি.।
Leave a reply