করোনায় বেকারত্বের হার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এ তথ্য জানিয়েছে উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। শুধু সংগঠনের জোটভুক্ত দেশগুলোতেই করোনায় নতুন করে বেকার হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন নারী কর্মীরা। যদিও নানামুখী উদ্যোগে সেই সংকট কাটিয়ে উঠছে অনেক দেশ।
ইউরোপ থেকে আমেরিকা, এশিয়া থেকে আফ্রিকা; করোনার ভয়াবহ থাবা থেকে বাদ যায়নি কোনো দেশ। এর প্রভাবে গতি হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। বন্ধ হয়েছে ছোট-বড় বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন কোটি কোটি মানুষ।
ওইসিডির মহাসচিব ম্যাথিয়াস করম্যান জানান, করোনায় ওইসিডির দেশ গুলোতে বেকার হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ। ২০১৯ সালে যে কর্মঘণ্টা ছিলো চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই সেই হার ৭ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়েছে। করোনার আগে কর্মসংস্থানের হার যেমন ছিলো সেই অবস্থায় ২০২৩ সালে আগে ফেরা সম্ভব হবে না।
তথ্য বলছে, করোনাকালীন সময়ে ওইসিডি জোটভুক্ত দেশগুলোতে চাকরি হারিয়েছে ৮০ লাখ মানুষ। এছাড়া কর্মস্থলে ফিরতে পারবে কিনা নেই অনিশ্চয়তায় আরও প্রায় দেড় কোটি কর্মী। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে নারীরা।
ম্যাথিয়াস করম্যান আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছিলো। এখন তা কমতে শুরু করেছে। সংকট দূর করতে নারী এবং তরুণদের নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে অর্থনীতি।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা সচল করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি।
Leave a reply