নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ উদঘাটনে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া সেজান ফ্যাক্টরির দেয়ালে ফাটল ধরায় পানি দিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব নয় বলেও জানায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগা ভবনটি থেকে এক ধরনের বিকট শব্দ আসছে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। এই কারণে তারা আগুন নেভানোর কাজে হাল এক ধরনের ছেড়েই দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস আরও বলেন, এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগুন আপনা-আপনি নিভে যাওয়ার।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের সাথে সমন্বয় সাধন করে পুলিশি পাহারায় নিহতদের লাশগুলো ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া এখনও পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় সার্চ করা বাকি রয়েছে। ভেতরে আরও মরদেহ রয়েছে কিনা এ ব্যাপারে দায়িত্বরত কেউ কোনো কথা বলেননি।
নারায়ণগঞ্জে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেলের সামনে ভিড় করেন স্বজনরা। তাদের দাবি, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু শ্রমিক। সকাল থেকে কারখানার সামনে হতাহতের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। অনেক শ্রমিক এখনও ওই ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা। আগুনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।
ইউএইচ/
Leave a reply