নড়াইল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের সূর্যসন্তান ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৮২-তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমানে, নূর মোহাম্মদ নগর) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট’ নড়াইলের নানা কর্মসূচি পালন করছে।
বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি রক্ষার্থে তার জন্মস্থানে নির্মাণ করা হয়েছে নূর মোহাম্মদ গ্রন্থাগার, স্মৃতি জাদুঘর ও কলেজ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি জাতীয়করণের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রায় এক যুগ ধরে বিনাবেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ‘নূর মোহাম্মদ মহাবিদ্যালয়’র শিক্ষক-কর্মচারীরা। বলাই বাহুল্য, কলেজটির অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব মোঃ আজিজুর রহমান জানান, কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে ১৯ জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাশ্ববর্তী ২০টি গ্রামের চার শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে এই কলেজটিতে।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ছেলে মোস্তফা কামাল তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি বিশেষ বিবেচনায় জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বীরশ্রেষ্ঠের বাড়িতে যাতায়াতের এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ভেঙে গেছে, অযত্ন-অবহেলায় রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাটিও। নূর মোহাম্মদ শেখের বসতভিটায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের পাশে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণের দাবি করেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে
পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক
নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত
করা হয়।
যমুনা অনলাইন: আরটি/টিএফ
Leave a reply