সুন্দরী খেতাব জয়ের লড়াইয়ে নেমেছেন শতাধিক নারী। ভাবছেন সবাই নজরকাড়া দেহ সৌষ্ঠবের তন্বী তরুণী। দেখলেই অঙ্গ-রূপের ঝলকে চোখ ঝলসে যাবে।
একদমই ভুল, তারা নজরকাড়া কিনা সে বিচার যিনি দেখবেন তার একান্ত বিষয়; কিন্তু লড়াইয়ে নামা কেউই তন্বী শব্দটিরও ধারে কাছে ছিলেন না। একেকজন রীতিমেতো ‘হাতি’। হ্যাঁ ‘হাতি’। আর ওটাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের পূর্ব শর্ত।
বার্ষিক এই মিস ‘জাম্বো’ সুন্দরীদের মিলন মেলা বসেছিল থাইল্যান্ডে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে শরীরের ওজন অবশ্যই ৮০ কেজির বেশি হতে হবে।
মিস ‘জাম্বো’ ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কওয়ানরাপি বুনচাইসুক, তার ওজন ১০১ কেজির বেশি। ট্রান্সজেন্ডার বিভাগে মিস ‘জাম্বো’ ২০১৮ হওয়া বানতিতা সাংগাচার্ট-এর ওজন ১০৯ কেজির বেশি।
প্রতিযোগিতায় শতাধিক ‘হাতি’ সদৃশ নারী অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী নারীদের কারও কারও ওজন দেড় শ কেজিরও বেশি ছিল।
বিচারকরা মিস ‘জাম্বো’ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হাতের সাথে তুলনীয় গুণগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। সেরা সন্দরীকে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘তাই দা চ্যাং’ বা ‘হাতির কন্যা’ শীর্ষক মুকুট। এই মুকুট পরে তিনি ক্রমবর্ধমান হারে কমে যাওয়া হাতি সংখ্যান বাড়াতে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সচেতনতা বাড়াতে বছরব্যাপী ঘুরে বেড়াবেন।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী কেউই খালি হাতে ফেরেন না। বিজয়ীদের পাশাপাশি সকল মিস ‘জাম্বো’-কে তাদের ওজনের ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়।
Leave a reply