বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস কিংবা দাবানল-তাপদাহ ইত্যাদি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বিশ্ব। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বনভূমি উজাড়ের ফলাফল পেতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। এমন সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গাছ লাগানোর ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নজর কেড়েছে মানুষের। শহরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে গাছ লাগাচ্ছে ‘প্ল্যান্ট অ্যাম্বুলেন্স’।
ইট-কাঠের শহুরে জীবনে সবুজের দেখা মেলে কদাচিৎ। সঙ্কট বিশুদ্ধ বাতাসের ও অক্সিজেনের। এই বিশুদ্ধ বাতাস ও অক্সিজেন সরবরাহের জন্যই শিলিগুড়ি শহরজুড়ে ঘুরে ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগাচ্ছে ‘প্ল্যান্ট অ্যাম্বুলেন্স’। জেলার বন বিভাগের সপ্তাহব্যাপী বনমহোৎসব কর্মসূচির আয়োজনে চলছে এ কার্যক্রম।
স্ন্যাপ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর কৌস্তভ চৌধুরী বলেন, শহরায়নের দৌড়ে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সারা বিশ্বে দৃশ্যমান হচ্ছে। ক্রমশ বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। পৃথিবীর সুস্থতার জন্য এই মূহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। এই ধরনের উদ্যোগকে নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। আর উদ্যোক্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতেই এ আয়োজন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে বনভূমি আছে মাত্র সাড়ে ২১ শতাংশ। তাই বৃহৎ পরিসরে সবুজায়নের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি গড়ে তোলার অঙ্গীকার তাদের। এই বনভূমি গড়ে তোলার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে চায়।
Leave a reply