সুন্দরবনে বাঘ দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণ হয়নি, আরও কমেছে

|

ফাইল ছবি।

শেষ হতে যাচ্ছে বাঘ সংরক্ষণ ও দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে, রাশিয়ায় আয়োজিত সম্মেলনের প্রতিশ্রুত সময়। অথচ সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা তো বাড়েনি; উল্টো নেমে এসেছে অর্ধেকেরও নিচে। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চল থেকে শিগগিরই বাঘ বিলুপ্ত হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

২০১০ সালের শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল চারশ’। এর ৯ বছর পর ২০১৯ সালের শুমারিতে বাঘের সংখ্যা নেমে আসে ১১৪টিতে।

স্থানীয়রা বলছেন, বাঘ শিকার ও পাচারের কারণেই কমে আসছে বনের রাজা রয়েল বেঙ্গলের টাইগারের সংখ্যা।

বন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫৫টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে সুন্দরবনে। যার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে ১৩টি। লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় গণপিটুনিতে প্রাণ গেছে ১৫টির। বাকী ২৬টি বাঘকে নানা সময়ে হত্যা করেছে চোরা শিকারি ও পাচার কারীরা।

ডোরাকাটা এই প্রাণী সংরক্ষণে, প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের পাশাপাশি বনে যাতায়াতকারী সকল যানবাহনকে ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আহ্বান এই বন্যপ্রাণী গবেষকের।

বন্যপ্রাণী গবেষক ড. নাছির উদ্দিন বলেন, সুন্দর বনের বাঘ এবং বাঘের প্রধান খাবার হরিণ শিকার বন্ধ করতে হবে। বনজীবী,পর্যটক ও সকল যানবাহনকে ডিজিটাল মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বাঘ শিকার বন্ধ হলে বাঘের সংখ্যা বাড়বে। আন্তর্জাতিকভাবে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি আছে আমরা তার সাথে আছি।

২০১০ সালে বাঘ সংরক্ষণ ও বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সম্মেলনে’র আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ১৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতির ঘোষণা পত্রে সাক্ষর করেন। ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply