আইসিইউ শয্যা যেন সোনার হরিণ! আইসিইউ বেডে ভর্তি একজন রোগীর মৃত্যুর অপেক্ষায় অন্য রোগীর স্বজনরা। হৃদয়বিদারক এমন দৃশ্য এখন নিয়মিত ঘটনা খুলনার কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল দুটিতে। মহামারিতে রোগী বাড়লেও হাসপাতালগুলোতে বাড়েনি সুবিধা। ৪০টি আইসিইউ বেডের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র দুজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে করতে গিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ লিখেছেন, হাই ফ্লো বা আইসিইউর অভাবে রোগী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসকের মানসিক কষ্ট অবর্ণনীয়।
খুলনা ২০০ শয্যা হাসপাতালের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসিফ ইকবাল বলেন, আইসিইউর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে বেড না পাওয়া রোগীর স্বজনরা। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে, কোনো রোগী মারা গেলে সেই সদ্য খালি হওয়া আইসিইউর বেডটি তার স্বজনকে দেয়া হবে। একজন চিকিৎসক হিসেবে এই বিষয়টি আমাকে অনেক পীড়া দেয়।
২শ’ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউতে শয্যা ৩০টি। বিপরীতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয় মাত্র একজনকে। শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালেও একই চিত্র। ১০ শয্যার আইসিইউর জন্য সেবা দিচ্ছেন একজন চিকিৎসক। এদের আবার পালন করতে হয় বাড়তি দায়িত্ব।
খুলনার শহীদ আবু নাসের হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মোসলেমা পারভীন যমুনা নিউজকে বলেন, করোনা আইসিইউ ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগ দুটিই একইসাথে চালাতে হচ্ছে আমাদের। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই কঠিন।
লোকবল নিয়োগের মাধ্যমে খুলনার কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল দুটিতে সেবার মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন জেলার জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা।
Leave a reply