টিকা স্বল্পতার কারণে এখনও জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষকেও করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারেনি বহু দেশ। সেখানে পূর্ণাঙ্গ দুই ডোজ শেষে বুস্টার হিসেবে তৃতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু করেছে ইসরায়েল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে ইসরায়েলে।
দেশটির সরকার বলছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতেই ষাটোর্ধ্ব মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। যদিও বুস্টার ডোজ প্রয়োগে এখনও কোন অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইসরায়েল সরকার মূলত নির্ভর করছে, টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ওপর। প্রতিষ্ঠানের দাবি, তৃতীয় ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
ইয়ান মিসকিন নামে এক চিকিৎসক জানান, মূলত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক সংক্রমণের কারণেই ষাটোর্ধ্বদের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দিচ্ছি আমরা। কেননা বেশিরভাগ দেশেই কোভিডের এই ধরণটি তাণ্ডব চালাচ্ছে। সবার আগে মানুষের জীবনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
ইসরায়েল সরকার সাধারণত যাদের তথ্য আর গবেষণার ওপর নির্ভরশীল, সেই মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরও এ বিষয়ে কোন ছাড়পত্র দেয়নি। তবুও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে টিকা নিচ্ছেন বয়স্করা।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের মোট ৯৩ লাখ জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশই পেয়ে গেছে ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ। এর মধ্যে ৭০ উর্ধ্ব নাগরিকের ৯০ ভাগ মানুষই পেয়ে গেছেন টিকা। শিশুদেরকেও ভ্যাকসিন ওপরও চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ।
Leave a reply