পোশাক রফতানির বিশ্ববাজারে চীনের পরেই ছিল বাংলাদেশ। করোনা মহামারির মধ্যে গেল ২০২০ সালে দুই হাজার ৮৮০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ।
একইসময়ে ভিয়েতনাম ১২ ভাগ প্রবৃদ্ধি করে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশকে। দেশটির রফতানি আয় দুই হাজার ৮৯০ কোটি ডলার। এতেই বহু বছর ধরে বাংলাদেশের হাতে থাকা দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানটি হয়েছে হাতছাড়া।
হাতে গোনা কয়েকটি তুলা নির্ভর পোশাক তৈরি, বিদেশি বিনিয়োগ না আসা এবং শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কম হওয়ার বাংলাদেশ পোশাকের বিশ্ববাজারে নিজের স্থান হারিয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রথমত ভিয়েতনামের পণ্যের বৈচিত্র অনেক বেশি। যেখানে আমরা অনেক বেশি তুলা নির্ভর। ভিয়েতনামের কটনের বাইরে সিনথেটিক, পলেস্টার, ম্যানমেইড ফাইবারসহ অনেক ধরণের পণ্য আছে। যার ফলে তারা অনেক বেশি ক্রেতা আকর্ষণ করতে পারছে। আবার তাদের শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি যেটার সুবিধা তারা নিচ্ছে।
বাংলাদেশে পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের স্বল্পতাকেও পিছিয়ে পড়ার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এই গবেষক বলেন, আমাদের দেশে পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ একেবারে নেই বললেই চলে। যা ভিয়েতনামে অনেক বেশি। দেশি বিনিয়োগ আমাদের একটি সম্পদ তবে বিদেশি বিনিয়োগ এলে এই খাত আরও বিস্তৃত হবে।
তবে চলতি অর্থবছর শেষে আবারও বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রফতানিকারকের স্থান ফিরে পেতে আশাবাদী বিজিএমইএ। বর্তমানে কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত রফতানি আদেশ আছে, সাথে নতুন কিছু উদ্যোগ নেয়ায় চলতি বছরই হারানো স্থান ফিরে পাওয়া যাবে বলছেন বিজিএমইএ কর্তারা।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০২০ সালে করোনার জন্য প্রায় দেড় মাস আমাদের কারখানা বন্ধ ছিল, কোনো রফতানি হয়নি এটি পিছিয়ে পড়ার একটি বড় কারণ। এ বছর আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আবার আরেকটা জায়গাতে আমরা পিছিয়ে আছি সেটি হলো নন-কটন পোশাক উৎপাদক। এই জায়গাটি নিয়েও আমরা কাজ করছি।
/এস এন
Leave a reply