আফগানিস্তানে তালেবানের আগ্রাসনে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, তালেবানের সাথে আফগান সেনাদের চলমান যুদ্ধে চলতি বছরের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত বাস্তচ্যুত হয়েছে ৪ লাখের বেশি বাসিন্দা। খাদ্যসহ জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন তাদের।
আশ্রয় শিবিরে জায়গা না পেয়ে কোলের বাচ্চাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচেই বাস করতে হচ্ছে আফগানিস্তানের অনেক নাগরিককে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের হামলার শিকার এসব মানুষের এখনই নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা গেলে মানবিক সঙ্কটে পড়বে আরও লাখ লাখ মানুষ।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেথ জোনস বলেন, তালেবানের ক্ষমতা দখলই আফগানিস্তানের জন্য মূল সঙ্কট নয়। এই মুহূর্তে দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় সঙ্কট হতে চলেছে গৃহহীন মানুষদের চাপ। আগে থেকেই লাখো লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন পাকিস্তান, তুরস্ক আর ইরান শিবিরগুলোতে। ফলে এই দেশগুলো নতুন করে কোনো শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে না। তাই নিজ দেশেই পরবাসী হয়ে এসব অসহায় মানুষগুলোকে জীবন কাটাতে হবে।
প্রয়োজনের তুলনায় এক ভাগও মিলছে না খাদ্য বা ওষুধের যোগান। ইউনিসেফ বলছে, জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন দেশটির সংঘাতময় এলাকার ১ কোটি ৮০ লাখ বাসিন্দার।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেন, নিঃসন্দেহে এত মানুষের পুনর্বাসন করা আমাদের ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি করছে। এই বিপুল পরিমাণ গৃহহীন মানুষকে সহায়তার জন্য প্রয়োজন জরুরি তহবিল। তবে সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। খাবার, স্যানিটেশন প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে গৃহহীন আফগানদের জন্য।
একের পর এক শহর তালেবানের দখলে যাওয়ায় এই সঙ্কট দীর্ঘ হতে পারে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আফগান সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে।
Leave a reply