দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৬ বছর: বিচার কার্যক্রম কতদূর?

|

বোমা হামলার খবর প্রচার করে একটি পত্রিকার শিরোনাম।

২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ, জেএমবি। ওই হামলায় দুইজনের মৃত্যুসহ আহত হয়েছিলেন শতাধিক নীরিহ মানুষ। তার পর ষোল বছর ধরে চলছে দেশব্যাপী ওই সিরিজ বোমা হামলার বিচার কাজ।

সেসময় দায়ের হওয়া ১৫৯টি মামলার মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে ১৪২টির। বাকি ১৭টিতে আসামি সনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্র দেয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৫৫টি রয়েছে বিচারের অপেক্ষায়। নিস্পত্তি হওয়া বাকি মামলাগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে আট আসামির।

জেএমবিসহ আটটি সংগঠন নিষিদ্ধ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আফগানিস্তানে তালেবানি আগ্রাসন। তালেবানের সঙ্গে যোগ দিতে এরই মধ্যে কয়েক যুবকের দেশত্যাগের খবর আছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী জানাচ্ছেন এমন সম্ভাবনার কথা। তিনি বলছেন, বাংলাদেশিরা যদি সিরিয়ায় যেতে পারে, তাহলে আফগানিস্তানে যাওয়া তাদের জন্য আরও সহজ।

তবে জাতীয় নিরাপত্তা সেলরে প্রধান নির্বাহী আসাদুজ্জামান মিয়া জানাচ্ছেন, এই সম্ভাবনার ব্যাপারে সরকারের সতর্ক অবস্থান রয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের কার্যক্ষেত্র এবং তৎপরতা বাড়িয়েছে।

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তথ্য বলছে, গেলো কয়েক বছরের অভিযানে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর অন্তত ৮০ সদস্য নিহতসহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার জনকে। বড় ধরনের কোনো হামলার শক্তি উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর আর নেই। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান আসাদুজ্জামান বলছেন, এ দেশে জঙ্গীদের তৎপরতা নির্মূল করতে না পারলেও তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

এছাড়া এ ব্যাপারে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন জেএমবির কোনো কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে কিনা তা তারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।

তবে উগ্রবাদ দমনে অভিযানের পাশপাশি সমন্বিত সামাজিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগও জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply