ইউএনওর বাসায় হামলার দুই মামলাতেই প্রধান আসামি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ

|

ছবি: সংগৃহীত।

বরিশালে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়ের হওয়া আলাদা দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং পুলিশের এক এস আই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও মামলাটি করেছেন তার বাসভবনে হামলার অভিযোগে, অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হত্যার উদ্দেশে আঘাত করে গুলিবর্ষণের অপরাধে মামলা করা হয়েছে।

মামলা দুইটিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, মান্না, আতিকুল্লাহ মুনিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত, রইজ আহম্মেদ মান্না প্রমুখ।

গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে পোস্টার অপসারণ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তর্ক বাঁধে। ঘটনার একপর্যায়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সাথেও বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় গুলি চালায় আনসার সদস্যরা।

এরই জের ধরে, ইউএনওর বাসায় হামলা চালানো হয়। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশালের আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে তুমুল হট্টগোল তৈরি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ নির্বিচারে সেখানে লাঠিচার্জ করে প্রায় দুই ঘণ্টার ধাওয়া পালটা ধাওয়া শেষে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার পর থেকে বরিশাল শহরজুড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply