চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মিত হলে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতিচিহ্ন মুছে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রস্তাবিত স্থানে থাকা শহীদ আবদুর রবসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধার কবর, নামফলকসহ শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু মুছে যাওয়ার শঙ্কা পরিবারগুলোর। এসব স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা না করে ধ্বংসের উদ্যোগে ক্ষুব্ধ সিআরবি রক্ষা আন্দোলনকারী ও বিশিষ্টজনরা।
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের তোড়জোড় চলা স্থানটিতেই আছে একটি ঘর। যেখান থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আবদুর রব একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সম্মুখ সমরে শহীদ হন। তার স্বজনরা এখন এই ঘরে থাকেন। কিন্তু, হাসপাতাল হলে ঘর হারানোর পাশাপাশি শহীদ আবদুর রবের স্মৃতিটুকুও মুছে যাবে বলে শঙ্কা পরিবারের।
শহীদ আবদুর রবের ভাতিজা শাখাওয়াত সালাউদ্দিন বলেন, এখানে আমার চাচা ছাড়াও আরও চার পাঁচজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর আছে। কবরের উপর তো হাসপাতাল হওয়া উচিত না।
এই কলোনির মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযোদ্ধা আবদুর রব। স্বীকৃতি, সহায়তা কিছুই পাননি, অন্ততঃ শেষ স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার দাবি বিশিষ্টজনদের।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচিহ্ন আছে। এগুলো থাকলে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস কিভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এগুলো থাকলে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা পাবে।
বৃটিশবিরোধী আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক সিআরবিতে রয়েছে ১১ শহীদের স্মৃতিসৌধ এবং একাধিক মুক্তিযোদ্ধার কবর।
চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের উপর যদি কেউ কোনো হাসপাতাল করতে চায় তবে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে।
মাস্টারপ্ল্যানে হেরিটেজ জোন হিসেবে চিহ্নিত সিআরবিতে সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণে তোড়জোড় শুরু হলে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম।
/এস এন
Leave a reply